স্বদেশ ডেস্ক:
যশোরের শার্শা উপজেলায় গৃহবধূ ধর্ষণের প্রমাণ মিলেছে। ওই নারীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. আরিফ আহমেদ। আজ বৃহস্পতিবার হাসপাতালেই এ তথ্য জানান তিনি।
আরিফ আহমেদ বলেন, ‘ওই গৃহবধূর স্বাস্থ্য পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামত মিলেছে। তবে এখনও প্রমাণ হয়নি ধর্ষণকাণ্ডে যাদের উপর অভিযোগ তোলা হয়েছে, তারা জড়িত কী না। ডিএনএ টেস্ট করা হবে। এতে প্রমাণিত হবে কে কে ওই কাণ্ডে জড়িত ছিলেন।’
এদিকে স্বামীকে ফাঁসিয়ে স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগের মামলা থেকে গতকাল বুধবার অভিযুক্ত পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) খায়রুল ইসলামের নাম বাদ দেওয়া হয়। অবশ্য তাকে কর্মস্থল থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনসে যুক্ত করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সালাহ উদ্দিন শিকদার। এ ঘটনা তদন্তে তাকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী তিনদিনের মধ্যে তারা তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবেন বলে জানা গেছে।
এর আগে গত মঙ্গলবার রাতে এ মামলায় চার আসামির মধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার তিন আসামি হলেন- কামরুল ইসলাম, ওমর আলী ও আব্দুল লতিফ। গতকাল মঙ্গলবার রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে নিশ্চিত করেন সালাহ উদ্দিন শিকদার।
উল্লেখ্য, ওই নারী গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেলে ঘটনাটি সামনে আসে। তিনি জানান, গত সোমবার দিবাগত রাতে উপজেলার গোড়পাড়া পুলিশ ফাঁড়ির এসআই খাইরুল ইসলাম ও তার সোর্স কামরুল ইসলাম ওই নারীকে ধর্ষণ করেন।
ভুক্তভোগী ওই নারী জানান, গত ২৫ আগস্ট রাতে তার স্বামীকে মাদক ব্যবসার অভিযোগে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যান এসআই খায়রুল। পরদিন তার কাছ থেকে ৫০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার দেখিয়ে আদালতে চালান করে দেন।
তিনি জানান, গত সোমবার রাত আনুমানিক ২টার দিকে এসআই খায়রুল ও তার সোর্স বাড়িতে গিয়ে ওই নারীকে ঘুম থেকে ডেকে তোলেন। পরে স্বামীকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার কথা বলে এসআই খায়রুল তার কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। তবে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে আবার টাকা দাবি করা নিয়ে খায়রুলের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে খায়রুল ও তার সোর্স তাকে ধর্ষণ করে। বিষয়টি কাউকে জানালে তাকেও মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন ওই নারী।